কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত | কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত, বর্তমান বিশ্বের মধ্যে অন্যতম ধনী রাষ্ট্র হচ্ছে কুয়েত। তাই বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ লোক কাজের উদ্দেশ্যে কুয়েত যেতে চাই। তাই আপনার জেনে রাখা ভালো যে কোন ভিসাতে আপনি কুয়েত যেতে চাচ্ছেন? যদি আপনি কোন ভিসাতে কুয়েত যাচ্ছেন সেটি না জানেন! তাহলে আপনাকে কুয়েত গিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে।
তাই বাংলাদেশ থেকে যারা কুয়েতে কোম্পানির ভিসায় যেতে চাচ্ছেন তাদের মনের ভিতর একটি প্রশ্ন থাকে? কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত এবং কুয়েতে বর্তমানের সর্বনিম্ন বেতন কত? তাই আপনারা যারা এই বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই আমার কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন আমার এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা সকল তথ্য জানতে পারবেন।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত
বাংলাদেশ থেকে বর্তমান বেশিরভাগ মানুষ কুয়েতে যান কোম্পানির ভিসাতে। কারণ কোম্পানির ভিসাতে বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় তার জন্য বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ মানুষ কুয়েতে কোম্পানির ভিসাতে যেয়ে থাকে। কিন্তু অনেক বাংলাদেশী জানেন না কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত ? নিচের লিস্ট থেকে আপনারা জেনে নিতে পারবেন কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত।
-
কুয়েতে শ্রমিক হেল্পার ভিসাতে বেতন হচ্ছে কুয়েতি ১০০ দিনার।
-
কুয়েতে ডেলিভারি বয় ভিসার বেতন হচ্ছে কুয়েতি ১২৫ দিনার।
-
কুয়েতে এসি মেকানিক ভিসার বেতন হচ্ছে কুয়েতি ১৩৫দিনার।
-
কুয়েতে ইলেকট্রিশিয়ান ভিসার বেতন হচ্ছে কুয়েতি ১২৫ দিনার।
-
কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার বেতন হচ্ছে কুয়েতি ১৩৫ দিনার।
-
কুয়েতে প্লাম্বার ভিসার বেতন হচ্ছে কুয়েতি ১১০ দিনার।
-
কুয়েতে ওয়েল্ডার ভিসার বেতন হচ্ছে কুয়েতি ১১০ দিনার।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা কোন কাজের চাহিদা বেশি
বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষই উন্নত জীবন যাত্রার জন্য প্রবাসে যেয়ে থাকে বর্তমানে প্রচুর পরিমাণ বাংলাদেশি কুয়েতে যাবার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। কেননা বর্তমানে কুয়েতের জীবন যাত্রার মান অনেক উন্নত কারণ বিশ্বের অন্যতম ধনী রাষ্ট্র হচ্ছে কুয়েত। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা কুয়েত কোম্পানির ভিসা কোন কাজের চাহিদা বেশি?
যদি আমরা জেনে নিতে পারি যে কুয়েত কোম্পানি কোন কাজের চাহিদা বেশি তাহলে আমরা কুয়েত গিয়ে ভালো টাকা পয়সা উপার্জন করতে পারব। এবং জীবনযাত্রার মান উন্নতি করতে পারব তাই আমাদের জেনে নিতে হবে কুয়েত কোম্পানি ভিসা কোন কাজের চাহিদা বেশি। নিচের লিস্ট অনুযায়ী আপনারা কোন কাজের চাহিদা বেশি দেখে নিন।
-
প্রথম স্থানে আছে ড্রাইভিং ভিসা।
-
দ্বিতীয় স্থানে আছে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ভিসা।
-
তৃতীয় স্থানে আছে রেস্টুরেন্ট ভিসা।
-
চতুর্থ স্থানে আছে টেকনিশিয়ান ভিসা।
-
পঞ্চম স্থানে আছে ক্লিনার ভিসা।
-
ষষ্ঠ স্থান আছে কন্সট্রাকশন ভিসা।
-
সপ্তম স্থানে আছে অফিস বয় ভিসা।
কুয়েত ভিসার দাম কত
আপনারা যারা বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন তাদের জানানো যাচ্ছে যে বর্তমানে কুয়েতে বৈধভাবে যেতে হলে ০৭ থেকে ০৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়। তাই আপনারা যারা কুয়েতে যাবার জন্য চিন্তা ভাবনা করতেছেন তারা অবশ্যই ০৭ থেকে ০৮ লক্ষ টাকা হাতে নিয়ে কুয়েতে যাবার জন্য চেষ্টা করবেন।
আপনি কুয়েতে যে কোন ভিসাতে যান না কেন আপনার সর্বনিম্ন কুয়েতে যেতে খরচ হবে ৭ লক্ষ টাকা এবং একটু ভালো ভিসাতে যেতে হলে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে। তাই আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে প্রবাসের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই ভালো দালাল এবং ভালো ভিসা দেখে কুয়েতে যাবেন।
আরও পড়ুনঃ কুয়েতের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
কুয়েত কোম্পানি ভিসার জন্য কি কি প্রয়োজন
আমরা যারা বাংলাদেশ কুয়েতে প্রবাসের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছি তাদের অবশ্যই কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষই কুয়েত কোম্পানি ভিসাতে কুয়েত যেতে চাচ্ছেন কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন না কুয়েত কোম্পানি ভিসার জন্য কি কি প্রয়োজন হয়। আপনারা আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন কুয়েত কোম্পানি ভিসার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়।
-
কুয়েত কোম্পানি ভিসার আবেদনের জন্য প্রথমে আপনার প্রয়োজন হবে আপনার কোম্পানির দলিল পত্র বা নিবন্ধন পত্র।
-
আপনি যে কোম্পানিতে কুয়েতে যাবেন সেই কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট আবেদনের সময় প্রয়োজন হবে। রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট আপনার কোম্পানির নিবন্ধন অফিস থেকে পাওয়া যাবে।
-
আবেদনের সময় আপনাকে আপনার কোম্পানির বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করতে হবে। যেটি আপনার কোম্পানির কার্যকাল, কোম্পানির শাখা সংখ্যা, কোম্পানির ধরন, কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবার মান এই সকল তথ্য সরবরাহ করতে হবে আবেদনের সময়।
-
কোম্পানি ভিসার আবেদনের জন্য আপনাকে কুয়েতের একটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট সরবরাহ করতে হবে।যাতে আপনার কোম্পানির আর্থিক অবস্থা প্রমাণিত থাকে।
-
কোম্পানি জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি পরিচয় পত্র দাখিল করতে হবে, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য পেশাগত তথ্য এবং পাসপোর্ট নাম্বার ঠিকানা এবং সকল তথ্য উল্লেখিত থাকবে।
কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত
যে সকল বাংলাদেশী কুয়েতে প্রবাসের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন তাদের জানানো যাচ্ছে যে বর্তমানে কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে ৬০ দিনার। যা বাংলাদেশের টাকায় প্রায় ২০ হাজার টাকা। কুয়েত সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কুয়েতের সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে ৬০ দিনার। সরকার নির্ধারিত শ্রমিকদের বেতনের থেকে কখনোই বেতন কম দেওয়া হয় না।
কুয়েতে একজন শ্রমিক বাংলাদেশি টাকায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারে যদি তার ভালো কাজের অভিজ্ঞতা থাকে। বর্তমান বিশ্বের সকল জায়গাতেই কাজের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে তার বেতন নির্ধারিত হয়ে থাকে। যে সকল শ্রমিক যত বেশি কাজ করবে এবং যত বেশি দক্ষ তার বেতন তত বেশি হবে।আপনারা যারা কুয়েতে কোম্পানির ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে সেই কাজটি ভালোভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে কুয়েত যাবেন।
সর্বশেষ কথাঃ
বিশ্বের ধনী দেশের মধ্যে অন্যতম দেশ হচ্ছে কুয়েত। বর্তমানে কুয়েতে অনেক রকমের কাজ রয়েছে কোম্পানির কাজ ছাড়াও ড্রাইভিং এর কাজ রয়েছে। আপনারা যারা প্রবাসের উদ্দেশ্যে কুয়েত যেতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই কোম্পানির ভিসাতে কুয়েত যাবেন কারন একমাত্র কোম্পানির ভিসাতেই থাকা এবং খাওয়া ফ্রি। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি জানিয়ে দিয়েছি কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত | কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত 2023। আজকের এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমার এই ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করবেন।
Garmany Kuwait multiple construction group company তে ইলেকট্রনিকস কাজে যাইতেছি, ১৫০-১৬০ kd salary, কেমন হবে, কোম্পানি কেমন
কুয়েতের সবগুলো কোম্পানির ভালো। আপনি যদি আট ঘন্টা ডিউটি করেন তাহলে পাবেন ৬০ কুয়েতি দিনার এবং ১২ ঘন্টা ডিউটি করলে বেতন পাবেন ১০০ কুয়েতি দিনার ও ১৬ ঘন্টা ডিউটি করলে আপনি বেতন পাবেন ১৫০ কুয়েতি দিনার। আপনার কোম্পানি আপনাকে কত ঘন্টা ডিউটি দিবে তার উপর আপনার বেতন নির্ভর করবে।