পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে, যে সকল বাংলাদেশী বৈধ নাগরিকগণ নতুন করে পাসপোর্ট বানাতে চাচ্ছেন তাদের জানতে হবে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং বর্তমানে পাসপোর্ট বানাতে কত টাকা লাগে? তাই আপনারা যারা নতুন করে পাসপোর্ট বানাবেন তারা অবশ্যই আমার এই আর্টিকেলটি পড়বেন।
বর্তমানে পাসপোর্ট করাটা এত সহজ বিষয় না পাসপোর্ট করতে হলে আপনাকে অনেকগুলো বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তাই আপনাদের মাঝে সেই বিষয়গুলো আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করা হবে অবশ্যই আমার এই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে পুরো আর্টিকেলটি পড়বেন।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে
বর্তমানে একটি পাসপোর্ট করতে হলে অনেক কাগজপত্র লাগে এবং সাথে সরকার নির্ধারিত ফ্রি লাগে তাই আপনাদের অবশ্যই জানতে হবে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে, একজন বাংলাদেশের নাগরিক পাসপোর্ট করতে হলে তার জন্ম নিবন্ধনের কাগজ লাগবে, চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট লাগবে, যদি শিক্ষিত হয় তাহলে অবশ্যই তার সার্টিফিকেটের ফটোকপি লাগবে এবং সরকার নির্ধারিত ফ্রি পরিশোধের মাধ্যমে আপনারা সঠিক নিয়মে পাসপোর্ট বানাতে পারবেন।
আরও পুড়ুনঃ মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগবে
পাসপোর্ট করার জন্য কি কি প্রয়োজন
যে সকল বৈধ বাংলাদেশী নাগরিকগণ নতুন করে পাসপোর্ট তৈরি করতে চাচ্ছেন তাদের মনের ভিতর একটি প্রশ্ন আসে পাসপোর্ট করার জন্য কি কি প্রয়োজন? এই প্রশ্ন সকল নাগরিকের মাঝে আসাটা স্বাভাবিক। কেননা পাসপোর্ট অনেক ধরনের কাগজপত্রের মাধ্যমেই সম্পূর্ণ করা হয়।
এই সকল কাগজপত্র সম্পর্কে আমাদের অনেকের ধারণা নাই। তাই পাসপোর্ট তৈরি করতে হলে কি কি লাগবে সে বিষয়ে জানাটা অতি জরুরী। তাহলে চলেন দেখি নেই পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন।
-
প্রথমে অনলাইন থেকে পাসপোর্ট আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে হবে।
-
প্রথম শ্রেণীর গেজেট কর্মকর্তা দ্বারা সকল কাগজপত্র সত্যায়িত।
-
মেয়র বা চেয়ারম্যানের নাগরিকত্ব সনদপত্র।
-
ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন বা এনআইডি কার্ড।
-
পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
-
যদি আপনি শিক্ষিত হন তাহলে আপনার সার্টিফিকেটের ফটোকপি।
-
আপনার যদি পূর্ব পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে সেই পাসপোর্ট এর ফটোকপি।
-
সরকার নির্ধারিত পাসপোর্ট ফ্রি।
পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
যে সকল বাংলাদেশী নাগরিকগণ নতুন করে পাসপোর্ট তৈরি করতে চাচ্ছেন তাদের মনে একটি প্রশ্ন থাকে যে পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে? তাই আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দিবো পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে।
৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
-
বর্তমানে ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী একটি পাসপোর্ট ১ থেকে ৩ মাস সময়ের মধ্যে পেতে চান তাহলে সরকারি ফ্রি ৪,০২৫ টাকা সাথে ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য।
-
বর্তমানে ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী একটি পাসপোর্ট ১০ দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে পেতে চান তাহলে সরকারি ফ্রি ৬,৩২৫ টাকা সাথে ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য।
-
বর্তমানে ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী একটি পাসপোর্ট ৩ দিন থেকে ১০ দিনের মধ্যে পেতে চান তাহলে সরকারি ফ্রি ৮,৬২৫ টাকা সাথে ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য।
৪৮ পৃষ্ঠার 10 বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
-
বর্তমানে ৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী একটি পাসপোর্ট ১ থেকে ৩ মাস সময়ের মধ্যে পেতে চান তাহলে সরকারি ফ্রি ৫,৭৫০ টাকা সাথে ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য।
-
বর্তমানে ৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী একটি পাসপোর্ট ১০ দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে পেতে চান তাহলে সরকারি ফ্রি ৮,০৫০ টাকা সাথে ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য।
-
বর্তমানে ৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী একটি পাসপোর্ট ৩ দিন থেকে ১০ দিনের মধ্যে পেতে চান তাহলে সরকারি ফ্রি ১০,৩৫০ টাকা সাথে ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য।
৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
-
বর্তমানে ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী একটি পাসপোর্ট ১ থেকে ৩ মাস সময়ের মধ্যে পেতে চান তাহলে সরকারি ফ্রি ৬,৩২৫ টাকা সাথে ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য।
-
বর্তমানে ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী একটি পাসপোর্ট ১০ দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে পেতে চান তাহলে সরকারি ফ্রি ৮,৬২৫ টাকা সাথে ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য।
-
বর্তমানে ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী একটি পাসপোর্ট ৩ দিন থেকে ১০ দিনের মধ্যে পেতে চান তাহলে সরকারি ফ্রি ১২,০৭৫ টাকা সাথে ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য।
৬৪ পৃষ্ঠার 10 বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
-
বর্তমানে ৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী একটি পাসপোর্ট ১ থেকে ৩ মাস সময়ের মধ্যে পেতে চান তাহলে সরকারি ফ্রি ৮,০৫০ টাকা সাথে ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য।
-
বর্তমানে ৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী একটি পাসপোর্ট ১০ দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে পেতে চান তাহলে সরকারি ফ্রি ১০,৩৫০ টাকা সাথে ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য।
-
বর্তমানে ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী একটি পাসপোর্ট ৩ দিন থেকে ১০ দিনের মধ্যে পেতে চান তাহলে সরকারি ফ্রি ১৩,৮০০ টাকা সাথে ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য।
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম প্রথমে আপনাকে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এই ওয়েবসাইটে লগইন করতে হবে এরপরে আপনি দেখতে পারবেন উপরের কর্নারের দিকে “Apply Online” মেনু থেকে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং আপনার থানা, জেলা নির্বাচন করতে হবে। এরপর আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, আপনার স্থায়ী ঠিকানা, পিতা-মাতার তথ্য এবং আপনার একটি সচল ইমেইল এড্রেস ও একটি সচল মোবাইল নাম্বার এর তথ্য দিয়ে অনলাইন ফরম পূরণ করতে হবে।
এরপর আপনি কত বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করতে চান সেটি উল্লেখ করতে হবে এবং আপনি কত পৃষ্ঠার পাসপোর্ট চাচ্ছেন সেটি উল্লেখ করে দিতে হবে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে। এবং সর্বশেষ আপনি কত দিনের মধ্যে পাসপোর্টটি হাতে পেতে চান সেই বিষয়ে উল্লেখ করে দিতে হবে অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদনের সময়।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতিটি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ই-পাসপোর্ট এর কার্যক্রম চালু রয়েছে। তারপরও আপনি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ই-পাসপোর্ট এর কার্যক্রম চালু আছে কিনা এই বিষয়ে খোঁজ নিন। যদি আপনার জেলায় ই-পাসপোর্ট এর কার্যক্রম চালু থাকে তাহলে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে ই-পাসপোর্টটি করে নিন।
ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে ই পাসপোর্ট করতে অনেকগুলো কাগজপত্র লাগে। নিচের দেয়া লিস্ট অনুযায়ী কাগজপত্র ছাড়া আপনি কোনভাবেই পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন না। তাই অবশ্যই নিচে দেওয়া লিস্টগুলো ফলো করে ই পাসপোর্ট এর জন্য পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করুন।
-
অনলাইনে আবেদনের সামারী।
-
আবেদনপত্র কপি।
-
এনআইডি কার্ড বা স্মার্ট কার্ড এর ফটোকপি।
-
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের সনদপত্র।
-
ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসাবে চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট।
-
সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদের অঙ্গীকার নামা।
-
বিদ্যুৎ বিল বা টেলিফোন বিল বা গ্যাস বিল এর কপি।
-
পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
-
পাসপোর্ট ফ্রী পরিশোধের চালান কপি।
-
রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
উপরে দেওয়া এ তথ্যগুলি সর্বসাধারণভাবে ই পাসপোর্ট এর আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আপনাদের যদি পাসপোর্ট বিষয়ে আরো কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আপনাদের পাসওয়ার্ড বিষয়ের সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য।