কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং খরচ কত ২০২৪, আপনারা জানেন যে বিশ্বের আয়তনের দিক দিয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র হচ্ছে কানাডা। উত্তর আমেরিকা মহাদেশের মধ্যে সবচাইতে শীতলতম দেশ বলা হয় কানাডাকে। কারণ কানাডাতে শীতের সময় প্রচুর পরিমাণ বরফ পরে তাই কানাডাকে শীতলতম দেশ বলা হয়। অন্যান্য দেশের থেকে প্রত্যেকটা দেশের মানুষের কাছে কানাডা অনেকটাই জনপ্রিয় একটি দেশ। বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ কানাডা যাওয়ার কথা ভাবছেন। অনেকেই রয়েছেন যারা কাজের উদ্দেশ্যে কানাডা যেতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এর জন্য আবেদন করতে হবে।
প্রতিবছর কানাডা সরকার বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে। এই নিয়োগ গুলো আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। আপনি এজেন্সি অথবা অনলাইনের মাধ্যমে নিজেই কানাডার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে পারবেন। তাই বাংলাদেশ থেকে যারা কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চায় তারা কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানতে চাই। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জানানো হবে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত সে সম্পর্কে।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আপনি যদি কোন কাজের উপরে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়ে থাকেন তাহলে আপনারা খুব সহজেই কানাডায় ওয়ার পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন। কারণ কানাডায় শ্রমিক আইন অনুযায়ী সেই দেশে অভিজ্ঞ শ্রমিকের অনেক চাহিদা। এজন্য কানাডা সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। এজন্য আপনাকে সর্বপ্রথম কোন এজেন্সি বা কারো দেওয়া কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
আপনারা যারা কানাডায় ওয়ার পারমিট ভিসা নিয়ে যাবেন তাদের জন্য বর্তমানে কানাডা সরকার বেশ কিছু ক্যাটাগরিতে ভিসা চালু রেখেছে। যে ক্যাটাগরিতে আপনারা খুব সহজেই বাংলাদেশ থেকে কানাডা যেতে পারবেন। কিন্তু আপনি এই সকল ক্যাটাগরিতে কানাডা যেতে হলে অবশ্যই আপনার এই সকল কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক বর্তমানে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্যাটাগরির কোনগুলো।
-
কন্সট্রাকশন।
-
ড্রাইভিং।
-
মেকানিক্যাল।
-
কৃষি কাজ।
-
রেস্টুরেন্ট।
-
কোম্পানি।
-
ক্লিনার।
-
ইলেকট্রিক্যাল।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত টাকা
আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চাই তাদের সর্বপ্রথম একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায় মাতা সেটি হচ্ছে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত টাকা? আজকে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত টাকা সেই সম্পর্কে। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করেন তাহলে আপনার খরচ হবে ৭ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে। আর আপনি যদি কোন এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে কানাডা যেতে চান তাহলে আপনার ১২ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে।
আরও পড়ুনঃ কানাডা যেতে কত টাকা লাগে
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি বৈধভাবে কানাডায় কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সর্বপ্রথম কানাডা ওয়ার্ক পারমিট বিষয় নিয়ে যেতে হবে। এবং কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে হবে। এজেন্সির মাধ্যমে বা দালালের মাধ্যমে আপনারা ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই কানাডার ওয়ারফরানের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আপনি যদি নিজেই ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম এই অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন। https://www.canada.ca/ এরপরে আপনাকে একটি ফরম সংগ্রহ করতে হবে এবং আপনি এই ফর্মে সঠিক তথ্য পূরণ করে যেকোনো এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার ফি প্রদান করলে আপনার কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন হয়ে যাবে। এরপরে যখন আপনার ভিসা হয়ে যাবে তখন আপনি খুব সহজেই বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কানাডা যেতে পারবেন।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশী
বাংলাদেশে যারা শিক্ষিত বেকার রয়েছেন তাদের বর্তমানে একটি স্বপ্ন বিশ্বের অন্যতম উন্নত রাষ্ট্র কানাডা যাওয়ার জন্য। কারণ অন্যান্য দেশের তুলনায় বর্তমানে কানাডায় কাজ করলে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। এবং কানাডায় আপনারা যারা ওয়ার্ক পারমিট বিষয়ে কাজ করবেন তাদের কাজের সুযোগ সুবিধা বেশি। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কানাডা যেতে পারেন তাহলে আপনার ইচ্ছামত যেকোনো ধরনের কাজ করতে পারবেন। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে গেছে। কারণ বর্তমানে কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায় না। যদি আপনি ভালো এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করেন তাহলে হয়তো কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যেতে পারেন।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট প্রসেসিং
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কানাডার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করেন তাহলে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং হতে অনেক সময় লাগে। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ সঠিক উপায়ে সকল ডকুমেন্টসহ টাকা দিতে হবে। তাহলে খুব অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনার কানাডার ভিসা প্রসেসিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অনেকেই জানতে চান জমা দেওয়ার কতদিন পরে ভিসা হয়ে থাকে? অর্থাৎ কানাডার ভিসা প্রসেসিং হতে কত সপ্তাহ সময় লাগে। বর্তমানে কানাডার ভিসা প্রসেসিং হতে ১২ সপ্তাহ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগে অবশ্য এর বেশিও লাগতে পারে।
সর্বশেষ কথা
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্যে কানাডা যেতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আপনারা অনেকেই রয়েছেন যারা অনলাইনে মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য খোঁজ করে থাকেন। আমরা ইতিমধ্যে আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করেছি। আশা করি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়েছেন।