ফজরের নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস, উক্তি, কবিতা, ছন্দ, হাদিস

ফজরের নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস, উক্তি, কবিতা, ছন্দ, হাদিস, নামাজ হচ্ছে বেহেস্তের চাবি যে মুমিন বান্দা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আল্লাহ তায়ালা তাকে বেহেস্তের সর্বোচ্চ স্থানে প্রতিষ্ঠিত করে। যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়ে আল্লাহ তাআলা তার সারাটা দিন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে দেয়।

আপনারা যারা নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস উক্তি কবিতা ছন্দ হাদিসের খোঁজ করিতেছেন তারা অবশ্যই আমার এই আর্টিকেলটি পড়বেন। এই আর্টিকেল এর মধ্যে জানতে পারবেন ফরজ নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস উক্তি কবিতা হাদিস বিভিন্ন সম্পর্কে।

ফজরের নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস

আমরা সকলে চেষ্টা করব পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার বর্তমান জেনারেশনের যুবকগন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে কিন্তু ফজরের নামাজের সময় ঘুম থেকে উঠতে একটু সমস্যা হয়। মমিন যুবকগন কষ্ট করে হলেও ফজরের নামাজটা পড়ে নেয়। তাই বর্তমান জেনারেশনের অনেকেই ফজরের নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস খোঁজ করে থাকেন।

  • ভোরবেলাতে ফজরের নামাজের পরে সকালের আলো বাতাস যে কতটা শরীরের জন্য ভালো, তা শুধু মাত্র ভোরবেলার ফজরের নামাজি ব্যক্তিরাই ভালো বলতে পারবে।
  • ভোরবেলায় ফজরের নামাজের মাধ্যমে সকল শয়তানের মুখ কালো হয়ে যায়-আল হাদিস।
  • প্রতি ওয়াক্তে নামাজের জন্য আল্লাহতালা বান্দার জন্য বিশেষ কিছু ফজিলত দিয়েছেন, তার মধ্যে সর্বোচ্চ ফজিলত দিয়েছেন ফরজ নামাজের সালাতে।
  • ভোরবেলায় ফরজ নামাজ আদায় করা যেন সারারাত দাঁড়িয়ে থেকে নামাজ পড়ার সমান।

ফজরের নামাজ নিয়ে উক্তি

বর্তমান জেনারেশন এ অনেক যুবক ছেলেরা ভোরবেলায় ফজর নামাজ পড়ে থাকে ইসলামের পাঁচটি রুকুনের মধ্যে একটি রুকুন হচ্ছে নামাজ তাই ধর্মপ্রাণ মুসলমান গন ভোরবেলাতে ফরজ নামাজ পড়ে থাকে। অনেকে আছেন ইন্টারনেটে ফজরের নামাজ নিয়ে উক্তি খোঁজ করে থাকেন তাদের জন্য আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে কিছু উক্তি প্রকাশ করিবো।

  • ঘুমানোর থেকে ফরজ নামাজ পড়া উত্তম। অতএব আপনি ভোরবেলাতে ফরজ নামাজ পড়ার জন্য জেগে উঠুন।
  • যে ব্যক্তি শীতের দিনে ফরজ নামাজ পড়ার জন্য ভোরবেলা ওযু করে, আল্লাহতালা সেই ব্যক্তিকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান বরাদ্দ করে।
  • আমি জান্নাতের চেয়ে ফরজের নামাজ কে বেশি ভালোবাসি, নামাজ কায়েম করলে আল্লাহকে সন্তুষ্টি করা যায়।
  • যে ব্যক্তি ভোর রাতে ফজর নামাজ পড়বে আল্লাহতালা সেই ব্যক্তির রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবে।

ফজরের নামাজ নিয়ে কবিতা

যে ব্যক্তি ভোর বেলাতে ফজরের নামাজ পড়ে তার সারা দিনে রিজিকের ব্যবস্থা করে দেয় আল্লাহ তা’আলা এবং ওই ব্যক্তির সারা দিন সুখ ও সমৃদ্ধিতে কাটে। তাই আমাদের সকলের উচিত ভোরবেলাতে ফজরের নামাজ পড়া তাই আপনাদের মাঝে আজকে আমি উপস্থাপন করব ফজরের নামাজ নিয়ে কবিতা।

ফজরের ঐ মিনার চুড়ায় – শফি আহমেদ

ফজরের ঐ মিনার চুড়ায়
শোন রে আসমানী ধ্বনি শোন!

ঘুমের ঘুরে তুই যাসনা
রে হেরে, আল্লাহর নামে
খোল রে ভাই আঁখি খোল
কর রে রাহমানুর রাহিমের গুনাগুন।
ফজরের ঐ মিনার চুড়ায়
শোন রে আসমানী ধ্বনি শোন!

জাগরে ভাই পড়বে নামাজ
রহমতি শাওন বরিষায়
ভ’রে নে তোর্ ভোরের পেয়ালায়।
এই সুধা পিয়ে তরুণ
অরুণ ফুল ফুটে বনে
আকুল পাপিয়া গুঞ্জে মধুক শাখে
সে কী মধুর গুন গুন।
ফজরের ঐ মিনার চুড়ায়
শোন রে আসমানী ধ্বনি শোন!

ওঠ রে ভাই আয় মসজিদে আয়
দোর খোলা আকাশের করুণার পশলায়
আয় ভেসে সুবহে সাদেকের মৃদু হাত্তয়ায়।
দু’হাত তুলে কর রে দোয়া
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।
প্রাতের প্রান্ত রে ভাই রহমতে উজালা
তুই মন খোলে পড় দুরুদে নাবিউন।
ফজরের ঐ মিনার চুড়ায়
শোন রে আসমানী ধ্বনি শোন!

ফজরের নামাজ নিয়ে ছন্দ

একজন মুমিন বান্দা শীতের দিনে ভোররাতে অনেক কষ্ট করে ফজর নামাজ পড়ে এবং আল্লাহ তাআলার এবাদত করে এই এবাদতের ফলে আল্লাহতালা বান্দর প্রতি অনেক খুশি হয়। আল্লাহতালা যদি বান্দার প্রতি খুশি হয় তাহলে ওই বান্দার জন্য বেহেস্তের দরজা আল্লাহ তায়ালা খুলে দেয়। তাই আপনারা যারা ফজরের নামাজ নিয়ে ছন্দ খোঁজ করিতেছে তারা অবশ্যই আমার এই লেখাগুলো পড়বেন।

  • হে মুমিন বান্দা তুমি যদি ভোর রাতে ফজরের নামাজ পড়া আল্লাহ তোমার জন্য বেহেস্তের দরজা খুলে দিবে।
  • তুমি যদি আল্লাহকে খুশি করতে চাও তাহলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে, ভোর রাতের ফজরের নামাজ দিয়ে তুমি শুরু করবে।
  • মুমিন বান্দা তুমি যখন খুব বিপদে পড়বে বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করবে এবং তুমি ফজরের নামাজ পড়বে।
  • ফজরের নামাজ পড়ে তুমি বাহিরের আলো বাতাস শরীরে লাগাবে, আল্লাহর দোয়াতে তুমি সবসময় সুস্থ থাকবে।
আরো পড়ুনঃ কোরবানি ঈদের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস কবিতা ছন্দ উক্তি ২০২৪

ফজরের নামাজ নিয়ে হাদিস

ফজরের নামাজ নিয়ে আল্লাহ তা’আলা কুরআনে একটি সূরা নাযিল করেছেন, বিভিন্ন রকম হাদিসে ফজর নামাজ নিয়ে বিভিন্ন রকম বয়ান দেওয়া আছে। আপনারা যারা ফজর নামাজ নিয়ে হাদিস জানতে চান তারা অবশ্যই আমার এই লেখাগুলো পড়বেন আমার এই লেখাগুলোর মাধ্যমে আপনারা ফরজ নামাজ নিয়ে হাদিস জানতে পারবেন।

  • হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এক হাদিসে বলেছেন তোমাদের কেউ যদি ফজরের নামাজের সময় ঘুমিয়ে পড়লে তাহলে শয়তান তোমার পিছনে তিনটি গিট দেয়। তুমি যদি আল্লাহকে স্মরণ করো তাহলে একটি গিট খুলে যাবে। তুমি যদি ফজরের নামাজের জন্য অজু করো তাহলে আরও একটি গিট খুলে যাবে। তুমি যখন নামাজ পড়বে তখন তিন নাম্বার গিট খুলে যাবে।
  • হযরত মুহাম্মদ সাঃ এক হাদিসে বলেছেন ফজরের দুই রাকাত নামাজ পৃথিবীর ও দুনিয়ার সর্ব কিছুর চেয়ে উত্তম।
  • মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন মুনাফিকদের জন্য ফজরের নামাজ এর থেকে ভারী কোন কাজ হতে পারে না এবং তুমি যদি ফজর নামাজের ফজিলত সম্পর্কে জানতে তাহলে তুমি হামাগুড়ি দিয়ে হলেও মসজিদে গিয়ে ফজর নামাজ আদায় করতে।

পাঠকের উদ্দেশ্যে কিছু কথাঃ

আল্লাহকে পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই নামাজ পড়তে হবে তাই আপনারা সবসময় চেষ্টা করবেন পাঁচ ওয়াক্ত সঠিকভাবে নামাজ পালন করতে। নামাজ হচ্ছে বেহেস্তের চাবি আপনি যদি আল্লাহর প্রতি ঈমান এনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আপনাকে পুরস্কৃত করবেন।

আপনি যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন তাহলে আপনার ভিতরের শয়তান আসতে পারবে না এবং আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন ভালো কাজ করার জন্য। আপনি যদি ভাল কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে শয়তান বাধা দিবে! তাই আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন তাহলে আপনার কাছে আর শয়তান আসতে পারবে না।

Leave a Comment