সময় যত যাচ্ছে প্রযুক্তি তত উন্নতির পথে হাঁটছে সেই আলোকে গ্রামীণফোন নিয়ে এলো জিপি ই-সিম ২০২৩ | GP eSIM 2023, প্রযুক্তির দুনিয়ায় একের পর এক নতুন নতুন উদ্ভাবন চলিতেছে নতুন আরেকটি উদ্ভাবন হলো গ্রামীণফোন ই-সিম।
ই-সিম প্রচলিত সিম এর মত নয় এই সিমে কোন প্রকার কার্ড নেই। এটি একটি কিউ-আর কোড তাই কোডটি স্ক্যান করলেই সরাসরি মোবাইলে সিম অ্যাক্টিভ হয়ে যাবে। প্রচলিত মোবাইল গুলোতে সাধারণত সিম অ্যাক্টিভ করার জন্য একটি সিম স্লট থাকে কিন্তু এই ই-সিমের জন্য কোন প্রকার সিম স্লট প্রয়োজন হয় না। জিপি ই-সিম ২০২৩ | GP eSIM 2023
জিপি ই-সিম ২০২৩ | GP eSIM 2023
এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল হলো ই-সিম যে সিম কার্ডগুলো সাধারণত দেখা যায় না এবং কোন প্রকার চিপস থাকে না শুধুমাত্র কিউআর কোড স্ক্যান করলেই সিমটি অ্যাক্টিভ হয়ে যায় সেই সিমকে বলা হয় GP eSIM । বর্তমানে গ্রামীণফোন গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে বাজারে এনেছে এই GP eSIM তাই আপনাদের যে সকল হ্যান্ডসেটে এই GP eSIM সাপোর্ট করে তারা অবশ্যই সিম কার্ডটি ক্রয় করবেন।জিপি ই-সিম ২০২৩ | GP eSIM 2023
জিপি ই-সিমের দাম কত ২০২৩
বর্তমানে গ্রামীণফোন গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে জিপি ই-সিমের দাম মাত্র 300 টাকা নির্ধারণ করেছে বর্তমানে বাজারে প্রচলিত সিমের থেকে এই সিম দীর্ঘস্থায়ী এবং পরিবেশবান্ধব। আপনি গ্রামীণফোনের যে কোন কাস্টমার কেয়ারে জিপি ই-সিম পেয়ে যাবেন এবং এনআইডি কার্ড দিয়ে বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে GP eSIM।
আরও পড়ুনঃ জিপি ইন্টারনেট ও মিনিট অফার ২০২৩
ই-সিম সাপোর্ট করা মোবাইল ২০২৩
বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের স্মার্টফোনে যুক্ত করা হচ্ছে ই-সিম। এ তালিকায় রয়েছে আইফোন এক্সএস, এক্সএস ম্যাক্স, এক্সআর, ১১, ১১ প্রো এবং ১১ প্রো ম্যাক্স ১২, ১২ প্রো ম্যাক্স ১৩, ১৩ প্রো ম্যাক্স ১৪, ১৪ প্রো ম্যাক্স। আইফোনের বাইরে গুগল পিক্সেল ২, ৩, ৩এ, ৪ মডেলেও যুক্ত করা হয়েছে এই প্রযুক্তি। এ ছাড়া স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোল্ড মডেল, মটোরোলা রেজর, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২০, এস২০ প্লাস মডেলে থাকছে ই-সিম।
বর্তমানে স্মার্টফোন বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ই-সিম মূলত এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল এটি মোবাইলে ফোনের ভিতরে বিল্ড নেটওয়ার্ক! যার সাহায্যে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা কোন প্রকার সিম ছাড়াই GP eSIM এর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক খুঁজে পায়। তাই আপনাদের মোবাইলে ই-সিম সাপোর্ট করে তারা অবশ্যই কাস্টমার কেয়ার থেকে একটি ই-সিম কিনে নিবেন।
ই-সিম কি? ই-সিমের সুবিধা
যেহেতু GP eSIM একটি এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল ডিজিটাল সিম তাই একটি হ্যান্ডসেটের অনেকগুলো সিম এক্টিভ করে রাখা যায়।
খুব সহজ যে কোন সিমের অপারেটর চেঞ্জ করা যায়।
হ্যান্ডসেটে কোন প্রকার আলাদা করে সিম ঢুকাতে হয় না শুধুমাত্র কিউআর কোড স্ক্যান করলে সিম কার্ডটি এক্টিভ হয়ে যায়।
একটি সিম কোম্পানি থেকে আরেকটি সিম কোম্পানিতে অতি দ্রুত ট্রান্সফার করা যায়।
ই-সিমটি একটি হ্যান্ডসেটে৫ টি এক্টিভ করে রাখা যায় তাই বারবার সিম চেঞ্জ করতে হয় না।
ই-সিম নিরাপদে ব্যবহার করা যায় হারানোর কোন প্রকার ভয় নেই।
যদি কখনো হ্যান্ডসেটটি পানিতে পড়ে যায় তাহলে এই সিম নষ্ট হওয়ার কোন প্রকার ভয় নেই। কারন এই সিমটি শুধুমাত্র কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে এক্টিভ হয়ে থাকে।
জিপি ই-সিম ২০২৩, GP eSIM 2023
বর্তমান সময়ে সাধারণ মানের সিম গুলো থেকে গ্রামীণফোন GP eSIM গুলো অনেক উন্নতমানের সিস্টেম তাই গ্রামীণফোনের eSIM গুলো সহজে নষ্ট হয় না এবং আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এই সিমগুলো চলতে পারে। অদূর ভবিষ্যতে প্রতিটি মোবাইল ফোনে এই eSIM ব্যবহৃত হবে। তাই ভবিষ্যতের কথা মাথা রেখেই গ্রামীণফোন তাদের গ্রাহকদের জন্য এই ই-সিম চালু করেছে।
ই-সিম কি? ই-সিমের অ-সুবিধা
যেহেতু GP eSIM একটি এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল সিম তাই চাইলে যে কোন হ্যান্ডসেটে ব্যবহার করা যায় না, শুধুমাত্র ই-সিম সাপোর্টেড হ্যান্ডসেটগুলোতে ব্যবহার করা যায়।
ই-সিম গুলো সাধারন মানের হ্যান্ডসেট এ ব্যবহার করা যায় না।
ই-সিম গুলো সাধারণত ডিজিটাল সিম হওয়াতে মডেমে ব্যবহার করা যায় না।
হঠাৎ করে হ্যান্ডসেট নষ্ট হয়ে গেলে ই-সিম খুলে অন্য সেটে ব্যবহার করা যায় না।
বর্তমানে ব্যবহার করা হ্যান্ডসেট গুলোর মধ্যে যে সিম ব্যবহৃত হয় সেই সিম গুলোর তথ্য গুলো অন্য সেটে স্থানান্তর করা যায়। কিন্তু ই-সিমের তথ্যগুলো অন্য কোন হ্যান্ডসেটের স্থানান্তর করা যায় না।
উপরের অসুবিধা গুলো ছাড়া অন্য কোন অসুবিধা নেই ই-সিমে। আর আস্তে আস্তে সমস্ত পৃথিবীতে এই সিমের প্রচলন ঘটিবে কারণ দিন দিন প্রযুক্ত উন্নত হচ্ছে এবং মানুষ বেশি বেশি সুযোগ-সুবিধা চাচ্ছে।
সর্বশেষ কথাঃ
গ্রামীণফোন এই সিম নিয়ে আপনাদের যদি কোন প্রকার প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আমি সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। বর্তমানে গ্রামীণফোন একটি জনপ্রিয় সিম কোম্পানি এই GP eSIM সারা বাংলাদেশে চালু করেছে। এবং বর্তমানে 300 টাকা মূল্যে এই GP eSIM গুলো পাওয়া যাচ্ছে।