লিথুনিয়া কাজের ভিসা এবং কাজের বেতন কত ২০২৪, বাল্টিক সাগর তীরে অবস্থিত ইউরোপের উন্নত একটি দেশ হচ্ছে লিথুনিয়া। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সেনজেন ভুক্ত দেশ হচ্ছে লিথুনিয়া। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষিত বেকারদের জন্য লিথুনিয়া শ্রমবাজার অনেক আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। লিথুনিয়াতে উচ্চ বেতন, উন্নত জীবনযাত্রার মান এবং সুন্দর পরিবেশে কাজ করা যায় বিধায় বাংলাদেশীদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থান হয়ে উঠেছে। তবে বর্তমানে খুব অল্প খরচে বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়া কাজের ভিসাতে যাওয়া যায়।
সাধারণত লিথুনিয়া কাজের ভিসা এর উপর নির্ভর করে সম্পূর্ণ সরকারিভাবে তিন থেকে চার লাখ টাকা খরচ করলেই আপনারা ইউরোপের সুন্দর এই দেশটিতে যেতে পারবেন। বর্তমানে যেহেতু বাংলাদেশের বেকারত্বের হার দিন দিন বেড়েই চলছে তাই অনেকেই বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে উন্নত জীবনযাত্রা এবং বেকার সমস্যা দূর করার জন্য চলে যাচ্ছে। আপনিও যদি বাংলাদেশ থেকে কাজের জন্য প্রবাসে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য লিথুনিয়া হতে পারে প্রবাস জীবনের জন্য সুন্দর একটি দেশ।
ইউরোপ মহাদেশের মধ্যে অন্যতম সুন্দর দেশ হচ্ছে লিথুনিয়া। তাই এই দেশটিতে খুব অল্প সহজেই বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে। লিথুনিয়া ভিসার ক্যাটাগরির অনুযায়ী ভিসার দাম কম বেশি হতে পারে। তবে আপনি সর্বনিম্ন ৪ লাখ টাকার নিচে কোনভাবেই লিথুনিয়াতে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাই আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন লিথুনিয়া কাজের ভিসা কত টাকা সে সম্পর্কে।
লিথুনিয়া কাজের ভিসা
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সিজনাল ও নন সিজনাল দুই ধরনের বিষয় পাওয়া যাচ্ছে। লিথুনিয়া যাওয়ার জন্য বর্তমানে সিজিনাল এবং নন-সিজনাল ভিসা চালু রেখেছে। ইউরোপ মহাদেশের ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বা সেনজেন ভুক্ত দেশগুলোতে আপনারা যারা সরকারি ভাবে যাওয়ার চেষ্টা করতেছিলেন তাদের জন্য এখনই সুবর্ণ সুযোগ। কারণ আপনি সরকারি ভাবে খুব অল্প কিছু টাকা খরচ করেই বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়া বিভিন্ন কাজের জন্য যেতে পারবেন।
বর্তমানে বাংলাদেশের বেকারদের একটি স্বপ্ন ইউরোপের যে কোন একটি দেশে ওয়ার পারমিট ভিসা নিয়ে প্রবেশ করা। কারণ ইউরোপের প্রতিটি দেশে প্রচুর পরিমাণ কাজ এবং কাজের সুন্দর পরিবেশ রয়েছে। তাই বাংলাদেশের বেকারদের স্বপ্ন থাকে ইউরোপের যে কোন একটি দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে প্রবেশ করা। বর্তমানে বাংলাদেশীদের জন্য যে সকল ভিসা চালু রেখেছে লিথুনিয়া সরকার নিম্নলিখিত লিস্ট থেকে দেখে নিন।
- সাধারণ কর্মীদের জন্য = ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।
- অভিজ্ঞ কর্মীদের জন্য = EU Blue Card
- সিজনাল = কাজের ভিসা।
- ইন্ট্রা = কোম্পানির ভিসা
লিথুনিয়া ভিসা পেতে কতদিন লাগে
লিথুনিয়া যেতে চাচ্ছেন আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়া যেতে চাচ্ছেন তাদের মনে একটি প্রশ্ন থেকে থাকে লিথুনিয়া ভিসা পেতে কতদিন লাগে? যদি আপনার কাগজপত্র সঠিক থাকে তাহলে আপনি স্বাভাবিকভাবে ৩০ কর্ম দিবসের মধ্যেই লিথুনিয়ার ভিসা পেয়ে যাবেন। কিন্তু যদি বাংলাদেশ থেকে আবেদনের পরিমাণ অনেক বেশি হয় তাহলে ৫০ থেকে ৬০ কর্ম দিবসের মধ্যেই লিথুনিয়ার ভিসা পেয়ে যাবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে সঠিকভাবে ভিসার আবেদন করতে হবে এবং আপনার সকল কাগজপত্র ১০০% সঠিক এবং নির্ভুল থাকতে হবে। ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি যেকোনো একটি ভাল এজেন্সির মাধ্যমে লিথুনিয়া কাজের ভিসা আবেদন করবেন।
আরও পড়ুনঃ লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ফরম
লিথুনিয়া কাজের বেতন কত
স্বাভাবিকভাবেই আমরা যারা লিথুনিয়া কাজের ভিসা তে যাব তাদের অবশ্যই মাথার মধ্যে একটি প্রশ্ন থেকে থাকে। লিথুনিয়া কাজের বেতন কত টাকা? যেহেতু লিথুনিয়া ইউরোপ মহাদেশের একটি কান্ট্রি তাই অন্য সকল ইউরোপ মহাদেশের কান্ট্রির মতই বেতন পাওয়া যায়। কারণ বাংলাদেশের টাকার মানের থেকে লিথুনিয়ামের টাকার মান অনেক বেশি তাই বেতনও বেশি। বর্তমানে লিথুনিয়ামের ১ টাকা সমান বাংলাদেশের প্রায় ১২৮ টাকা অর্থাৎ লিথুনিয়ামের টাকায় যে বেতন পাবেন তার ১২৮ গুণ বাংলাদেশি টাকায়।
বর্তমানে লিথুনিয়ামে একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে ৬০০ ইউরো থেকে ৭০০ ইউরো। অর্থাৎ লিথুনিয়ামে একজন বাংলাদেশী শ্রমিক বাংলাদেশি প্রায় ৭০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পাবে। যদি আপনি ওভারটাইম করতে পারেন তাহলে এই বেতন আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই বলা যায় বর্তমানে লিথুনিয়ামে কাজের বেতন হচ্ছে ৬০০ ইউরো থেকে ৭০০ ইউরো পর্যন্ত।
সর্বশেষ কথাঃ
আপনারা যারা সরকারিভাবে অল্প খরচে ইউরোপ মহাদেশের ভালো একটি দেশে যেতে ইচ্ছুক তাদের জন্য অবশ্যই লিথুনিয়াম অনেক ভালো একটি অপশন। তাই আপনারা অবশ্যই সময় নষ্ট না করে লিথুনিয়ামের এই সুবর্ণ সুযোগটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন। আজকের এই আর্টিকালের মাধ্যমে আপনাদের সাথে আমি সম্পূর্ণভাবে আলোচনা করেছি লিথুনিয়া কাজের ভিসা এবং কাজের বেতন কত কত টাকা সে সম্পর্কে। যদি আপনাদের লিথুনিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে আরো কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানান আমি আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো