নারী নিয়ে উক্তি, ক্যাপশন, স্ট্যাটাস, ইসলামিক উক্তি, একজন নারী কখনো মা, কখনো বোন, কখনো জীবন সঙ্গিনী, কখনো ভাগ্নি, কখনো ভাতিজি, কখনো মামি, কখনো খালা, কখনো চাচী, তাই আমরা বলতে পারি পানি যেমন যে কোন পাত্র রাখলে সেই পাত্রের আকার ধারণ করে। ঠিক সেই ভাবে একজন নারী তার সম্পর্কের মত করে জীবন ধারণ করে। নারী হচ্ছে বংশের চালিকাশক্তি নারীদের গর্ভে আমাদের বংশবিস্তার হয়ে থাকে।
আমাদের সমাজে নারী কখনো প্রতিবাদী নারী কখনো মমতাময়ী এবং বর্তমান এই সমাজে নারীরা সবচেয়ে নির্যাতিত নিপীড়িত শোষিত বঞ্চিত কলঙ্কিত এবং অবহেলিত তাই নারীদের নিয়ে এই সমাজে কিছু উক্তি প্রকাশিত হয়েছে যে উক্তিগুলো আপনারা আমারে আর্টিকেলের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। তাই আর দেরি না করে নারী নিয়ে উক্তি ক্যাপশন স্ট্যাটাস কবিতা নারী নিয়ে ইসলামিক উক্তিগুলো দেখে নিন।
নারী নিয়ে উক্তি
মানুষ সৃষ্টির পর থেকে দেখা যাচ্ছে যে নারীদের ইতিহাস সবসময় গুরুত্বপূর্ণ এবং নারীরা সবচাইতে অত্যাচারিত এবং প্রতিনিয়ত পুরুষের হাতে লাঞ্ছিত হয়ে থাকে এই কথা কখনোই অস্বীকার করা যাবে না। বড় সত্যি কথা হচ্ছে নারী শক্তি ছাড়া এই পৃথিবীতে সমাজ ব্যবস্থা কোনভাবেই বদলানো সম্ভব নয়। তাই ভবিষ্যতে এই সমাজ আরো বদলাতে চাইলে অবশ্যই নারী শক্তিকে ব্যবহার করতে হবে।
যে সকল পাঠক বৃন্দ আপনারা নারী নিয়ে উক্তি ইন্টারনেটে খোঁজ করিতেছেন। তারা অবশ্যই সঠিক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন আমার এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাদের সামনে প্রকাশ করবো নারী নিয়ে উক্তি।
-
” স্ত্রীদিগের উপর যেমন কঠিন ব্যবস্থা” পুরুষের উপর সমীহ কিছু নেই”। কথায় কিছু হয় না” ভ্রষ্ট পুরুষের কোন সামাজিক দণ্ড নেই”। একজন স্ত্রী সতীত্ব সম্বন্ধে কোন পরিচয় করিলে সে আর মুখ দেখাতে পারে না”।– বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
-
”নারীর-হৃদয়-এমন-একটা-জায়গা,যেখানে-আমি-একজন-পুরুষ-সকলকে-হারিয়ে-ফেলেছি।”——-রেদোয়ান-মাসুদ।
-
”আমার-মনের-সবচেয়ে-মজার-জায়গা।-এই-মন-অনেক-কঠিন-সহজে-জানাতে,-অনেক-সহজে- বিষয়-নিয়ে-আসতে-পারে না।”– হুমায়ুন-আহমেদ।
-
“নারীর-কাছ-থেকে-পুরুষের-মত-কাজ-করার-আশা-থাকে-তবে -অবশ্যই-তাকে-শিক্ষা-দিতে-হবে।”– পলিটো।
-
“বিশ্বে-কিছু মহান স্থায়ী-কল্যাণ-যাকর-অর্ধেক-তার-নারী, অর্ধ-তার-নর। বিশ্বে-যা-কিছু-এল-পাপ-তাপ-বেদনা-আর-অশ্রুবারি-অর্ধেক-তার-নর, অর্ধেক-তার-নারী।”– কাজী-নজরুল-ইসলাম।
-
“সব-বড়-মানবাইন-চানর-জন্য-কোন-অসাধারণ-নারীর-আবেগ-এবং-আবেগের-কথা-বলেছেন”–ও হেনরি”।
-
“অনেক-কষ্ট,-যন্ত্রণাও-মেয়েরা-মায়ারটানে-একটা-ভালোবাসা,-একটা-সম্পর্ক,-একটা-পৃথিবী-টিকিয়ে-পেতে-চায়।-এই-জন্য-মেয়েরা-মায়াবতী-আর-মায়াবতীর-কোন-পুরুষবাচক-শব্দ-নেই।”–হুমায়ন-আহমেদ।
-
”মাতৃত্ব-শুধু-শক্তি-যোগায়-না,-এটা-মনে-শান্তিও-দেয়।-তুমি-নারী-বলে-এটা-কখনই-বলে-না।”–ম্যারিকম”।
-
“আমাদের-সমাজে-মহিলারাই-মহিলার-মা।-তাই-তাদের-উন্নতির-দিকে-নজর-দেওয়া-সবচেয়ে-গুরুত্বপূর্ণ।”– মরিয়ম-মাকেবা”।
-
“প্রতিটি-মেয়ে-তার-স্বামীর-কাছে-রাণী-হতে-পারে-না।-কিন্তু-প্রতিটা-মেয়েই-তার-বাবার-কাছে-রাজকন্যা-থাকে।”-হুমায়ূন-আহমেদ।
-
“যে-নারীকে-ঘুমন্ত-সুন্দর-দেখায়-সেই-রূপবতী”।”-হুমায়ূন-আহমেদ।
নারী নিয়ে ক্যাপশন
-
আমরা-নারী,-আমরা-সব-পারি।
-
বৈদিক-যুগ-এবং-উপনিষদের-যুগে-সত্যদ্রষ্টা-নারীরা-ও-মহাভারত-রামায়ণের-যুগে-মহীয়সী-নারীসকল-ভবিষ্যৎ-প্রজন্মের-নারী-জাতির-সর্বোত্তম-আদর্শ ।
-
নারীরা-হল-জগজ্জননীর-প্রতিভূ-নারী-আজ-স্বয়ংসিদ্ধা।-তাঁরা-কারও-উপরে-নির্ভরশীল-নয়-;বরং-তাঁদের-উপরই-দাঁড়িয়ে-আছে-সমগ্র-পরিবার।-আবার-কখনও-তাঁদের-উপরেই-নির্ভর-করছে-কোনও-দেশের-ভাগ্য।
-
প্রত্যেকটি-মানুষের-সাফল্যের-পেছনেই-রয়েছে-একজন-নারীর,-আত্মত্যাগের-কাহিনী-যারা-সবসময়-থেকে-যান-পর্দার-পেছনেই।
-
নারী-না-থাকলে-পৃথিবীটা-হতো-না-এত-সুন্দর-নারী-না-থাকলে-আমাদের-জন্মই-যে-হতনা।-তোমরা-না-থাকলে-সমগ্র-সৃষ্টি-হয়ে-উঠতো-অসম্ভব।
-
যুগ-যুগ-ধরে-অত্যাচার-সহ্য-করে-নারীরা-এবারে-ঘুরে-দাঁড়িয়েছে।-নারী-শক্তির-জয়জয়কার-এখন-সর্বোত্র।
-
হে-নারী-,তোমার-ডানায়-আগুন,-দীর্ঘ-হোক-তোমার-উড়ান।
-
এই-বিশ্বজগৎ-সুষ্ঠুভাবে-একমাত্র-মেয়েরাই-চালাতে-পারে।
-
বর্তমান-দুনিয়ায়-এমন-কোনও-কাজ-নেই-যা-মেয়েরা-পারে-না।
-
সমুদ্রের-জল-যেমন-একটা-গ্লাসে-রাখা-যায়না-ঠিক-তেমনি-নারী-দিবস-একদিনে-পালন-করা-যায়-না।
-
নারীরা-যখন-শক্তিরূপা-হয়ে-ওঠে-তখন-পৃথিবীতে-অনেক-বড়-পরিবর্তন-আসে।
-
নারীবাদী-হওয়া-মানে-নারীদের-শক্তিশালী-করা-নয়,-কারণ-মেয়েরা-এমনিতেই-শক্তিশালী।
নারী নিয়ে স্ট্যাটাস
-
“নারী-কখনো-হারে-না।-সমাজ-কি-বলবে-এটা-বলে-ভয়-দেখিয়ে-তাদের-হারানো-হয়।”-–এ-পি-জে-আব্দুল-কালাম
-
“আমি-চাই-প্রতিটি-মেয়ে-জানুক-যে-তার-কণ্ঠ-পৃথিবীকে-বদলে-দিতে-পারে।”-–মালালা-ইউসুফজাই
-
“মহিলারা-বিশ্বের-সবচেয়ে-বড়ো-অব্যবহৃত-প্রতিভার-আধার।”–হিলারি-ক্লিনটন
-
“যেখানে-একজন-মহিলা-আছে,-সেখানে-জাদু-আছে।”–নটোজাকে-শাঙ্গে
-
“আমি-একজন-নারী-হিসেবে-কৃতজ্ঞ।-অন্য-জীবনে-নিশ্চয়ই-আমি-দারুণ-কিছু-করেছি।”–মায়া-অ্যাঞ্জেলো
-
“একটি-সুন্দর-মেয়ে-একটি-সুরের-মতো-যা-আপনাকে-রাত-দিন-তাড়া-করে।”–আরভিং-বার্লিন
-
“মেয়েদের-অনুমান-পুরুষদের-নিশ্চয়তা-হতে-অনেক-বেশী-ঠিক।”– কিপলিং
-
“সর্বোপরি,-আপনার-জীবনের-নায়িকা-হও,-শিকার-নয়।”–নোরা-এফ্রন
-
“নারীর-কাছে-সন্তান-প্রসব-একটা-তৃপ্তিকর-শান্তি।”–উইলিয়াম-শেক্সপিয়র
-
“প্রতিটা-মেয়ে-হয়তো-তার-স্বামীর-কাছে-রানী-হয়ে-থাকতে-পারে-না।-কিন্তু-প্রতিটা-মেয়েই-তার-বাবার-কাছে-রাজকন্যা-হয়ে-থাকে।”–হুমায়ূন-আহমেদ
-
“আপনি-যদি-কিছু-বলতে-চান-তবে-একজন-লোককে-জিজ্ঞাসা-করুন।-আপনি-যদি-কিছু-করতে-চান-তবে-একজন-মহিলাকে-জিজ্ঞাসা-করুন।”-–মার্গারেট-থ্যাচার
-
“নারীদের-বিশ্বের-উপযুক্ত-করার-কথা-ভাববেন-না।-বিশ্বকে-নারীদের-উপযুক্ত-করার-কথা-ভাবুন।”–গ্লোরিয়া-স্টেইনেম
নারী নিয়ে কবিতা
নারী – কাজী নজরুল ইসলাম
সাম্যের-গান-গাই-
আমার-চক্ষে-পুরুষ-রমণী-কোনো-ভেদাভেদ-নাই!
বিশ্বে যা-কিছু মহান্ সৃষ্টি চির-কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্রুবারি,
অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী।
নরককুন্ড বলিয়া কে তোমা’ করে নারী হেয়-জ্ঞান?
তারে বলো, আদি পাপ নারী নহে, সে যে নর-শয়তান।
অথবা পাপ যে-শয়তান যে-নর নহে নারী নহে,
ক্লীব সে, তাই সে নর ও নারীতে সমান মিশিয়া রহে।
এ-বিশ্বে যত ফুটিয়াছে ফুল, ফলিয়াছে যত ফল,
নারী দিল তাহে রূপ-রস-মধু-গন্ধ সুনির্মল।
তাজমহলের পাথর দেখেছ, দেখিয়াছে যত ফল,
অন্তরে তার মোমতাজ নারী, বাহিরেতে শা-জাহান।
জ্ঞানের লক্ষ্মী, গানের লক্ষ্মী, শস্য লক্ষ্মী নারী,
সুষমা-লক্ষ্মী নারীই ফিরিছে রূপে রূপে সঞ্চারি’।
পুরুষ এনেছে যামিনী-শানি-, সমীরণ, বারিবাহ!
দিবসে দিয়াছে শক্তি সাহস, নিশীতে হ’য়েছে বধূ,
পুরুষ এসেছে মরুতৃষা ল’য়ে, নারী যোগায়েছে মধু।
শস্যক্ষেত্র উর্বর হ’ল, পুরুষ চালাল হল,
নারী সেই মাঠে শস্য রোপিয়া করিল সুশ্যামল।
নর বাহে হল, নারী বহে জল, সেই জল-মাটি মিশে’
ফসল হইয়া ফলিয়া উঠিল সোনালী ধানের শীষে।
স্বর্ণ-রৌপ্যভার,
নারীর অঙ্গ-পরশ লভিয়া হ’য়েছে অলঙ্কার।
নারীর বিরহে, নারীর মিলনে, নর পেল কবি-প্রাণ,
যত কথা তার হইল কবিতা, শব্দ হইল গান।
নর দিল ক্ষুধা, নারী দিল সুধা, সুধায় ক্ষুধায় মিলে’
জন্ম লভিছে মহামানবের মহাশিশু তিলে তিলে!
জগতের যত বড় বড় জয় বড় বড় অভিযান,
মাতা ভগ্নী ও বধূদের ত্যাগে হইয়াছে মহীয়ান্।
কোন্ রণে কত খুন দিল নর লেখা আছে ইতিহাসে,
কত নারী দিল সিঁথির সিঁদুর, লেখা নাই তার পাশে।
কত মাতা দিল হৃদয় উপড়ি’ কত বোন দিল সেবা,
বীরের স্মৃতি-স্তম্ভের গায়ে লিখিয়া রেখেছে কেবা?
কোনো কালে একা হয়নি ক’ জয়ী পুরুষের তরবারী,
প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয় লক্ষ্মী নারী।
রাজা করিতেছে রাজ্য-শাসন, রাজারে শাসিছে রাণী,
রাণীর দরদে ধুইয়া গিয়াছে রাজ্যের যত গ্লানি।
পুরুষ হৃদয়-হীন,
মানুষ করিতে নারী দিল তারে আধেক হৃদয় ঋণ।
ধরায় যাঁদের যশ ধরে না’ক অমর মহামানব,
বরষে বরষে যাঁদের স্মরণে করি মোরা উৎসব,
খেয়ালের বশে তাঁদের জন্ম দিয়াছে বিলাসী পিতা,-
লব-কুশে বনে ত্যজিয়াছে রাম, পালন ক’রেছে সীতা।
নারী সে শিখা’ল শিশু-পুরুষেরে স্নেহ প্রেম দয়া মায়া,
দীপ্ত নয়নে পরা’ল কাজল বেদনার ঘন ছায়া।
অদ্ভুতরূপে পুরুষ পুরুষ করিল সে ঋণ শোধ,
বুকে ক’রে তারে চুমিল যে, তারে করিল সে অবরোধ!
তিনি নর-অবতার-
পিতার আদেশে জননীরে যিনি কাটেন হানি’ কুঠার।
পার্শ্ব ফিরিয়া শুয়েছেন আজ অর্ধনারীশ্বর-
নারী চাপা ছিল এতদিন, আজ চাপা পড়িয়াছে নর।
সে যুগ হয়েছে বাসি,
যে যুগে পুরুষ দাস ছিল না ক’, নারীরা আছিল দাসী!
বেদনার যুগ, মানুষের যুগ, সাম্যের যুগ আজি,
কেহ রহিবে না বন্দী কাহারও , উঠিছে ডঙ্কা বাজি’।
নর যদি রাখে নারীরে বন্দী, তবে এর পর যুগে
আপনারি রচা ঐ কারাগারে পুরুষ মরিবে ভুগে!
যুগের ধর্ম এই-
পীড়ন করিলে সে পীড়ন এসে পীড়া দেবে তোমাকেই।
শোনো মর্ত্যের জীব!
অন্যেরে যত করিবে পীড়ন, নিজে হবে তত ক্লীব!
স্বর্ণ-রৌপ্য অলঙ্কারের যক্ষপুরীতে নারী
করিল তোমায় বন্দিনী, বল, কোন্ সে অত্যাচারী?
আপনারে আজ প্রকাশের তব নাই সেই ব্যাকুলতা,
আজ তুমি ভীরু আড়ালে থাকিয়া নেপথ্যে কও কথা!
চোখে চোখে আজ চাহিতে পার না; হাতে রুলি, পায় মল,
মাথার ঘোম্টা ছিঁড়ে ফেল নারী, ভেঙে ফেল ও-শিকল!
যে ঘোমটা তোমা’ করিয়াছে ভীরু, ওড়াও সে আবরণ,
দূর ক’রে দাও দাসীর চিহ্ন, যেথা যত আভরণ!
ধরার দুলালী মেয়ে,
ফির না তো আর গিরিদরীবনে পাখী-সনে গান গেয়ে।
কখন আসিল ‘প্নুটো’ যমরাজা নিশীথ-পাখায় উড়ে,
ধরিয়া তোমায় পুরিল তাহার আঁধার বিবর-পুরে!
সেই সে আদিম বন্ধন তব, সেই হ’তে আছ মরি’
মরণের পুরে; নামিল ধরায় সেইদিন বিভাবরী।
ভেঙে যমপুরী নাগিনীর মতো আয় মা পাতাল ফুঁড়ি’!
আঁধারে তোমায় পথ দেখাবে মা তোমারি ভগ্ন চুড়ি!
পুরুষ-যমের ক্ষুধার কুকুর মুক্ত ও পদাঘাতে
লুটায়ে পড়িবে ও চরন-তলে দলিত যমের সাথে!
এতদনি শুধু বিলালে অমৃত, আজ প্রয়োজন যবে,
যে-হাতে পিয়ালে অমৃত, সে-হাতে কূট বিষ দিতে হবে।
সেদিন সুদূর নয়-
যেদিন ধরণী পুরুষের সাথে গাহিবে নারীরও জয়!
আরও পড়ুনঃ হাসি নিয়ে ক্যাপশন স্ট্যাটাস ছন্দ উক্তি কবিতা
নারী নিয়ে ইসলামিক উক্তি
-
সেই নারী সবচেয়ে উত্তম যে তার যৌবনের সমস্ত ভালবাসা আমানত রাখে তার স্বামীর জন্য।
-
পর্দা হলো কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত পছন্দ। এটা ফ্যাশনের জন্য না পরে স্রষ্টার প্রতি আনুগত্যের জন্য পরা উচিত। এটা মানুষকে দেখানোর জন্য না পরে বরং স্রষ্টার নৈকট্য পাবার জন্য পরা উচিত।
-
রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো ইরশাদ করেন, ‘যার গৃহে কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করল, অতঃপর সে তাকে (কন্যাকে) কষ্টও দেয়নি, তার ওপর অসন্তুষ্ট ও হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে প্রাধান্য দেয়নি, তাহলে ওই কন্যার কারণে মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে বেহেশতে প্রবেশ করাবেন।’ (মুসনাদে আহমদ, ১:২২৩)
-
যে ব্যক্তির তিনটি কন্যা সন্তান বা তিনজন বোন আছে অথবা দু’জন কন্যা সন্তান বা বোন আছে। সে তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছে এবং তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করেছে। তার জন্য রয়েছে জান্নাত।’ (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯১৬)
-
যে ব্যক্তিকে কন্যা সন্তান লালন-পালনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং সে ধৈর্যের সঙ্গে তা সম্পাদন করেছে সেই কন্যা সন্তান তার জন্য জাহান্নাম থেকে আড়াল হবে। (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯১৩)
-
যে ব্যক্তি দুইজন কন্যা সন্তানকে লালনপালন ও দেখাশুনা করল (বিয়ের সময় হলে ভালো পাত্রের কাছে বিবাহ দিল) সে এবং আমি জান্নাতে এরূপ একসঙ্গে প্রবেশ করব যেরূপ এ দুটি আঙুল। তিনি নিজের দুই আঙুল মিলিয়ে দেখালেন। (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯১৪)