দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত, মধ্যপ্রাচ্যের উন্নত একটি দেশ হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত আর এই উন্নত দেশের বিখ্যাত একটি বড় শহর হচ্ছে দুবাই। তাই এই দুবাইতেই রয়েছে শত শত কাজ বাংলাদেশীদের কাছে দুবাই অন্যতম কাজের জায়গা। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেক প্রবাসী দুবাই কাজের জন্য যেয়ে থাকে। দুবাইয়ে কাজের জন্য অনেক প্রকার ভিসা রয়েছে। বিভিন্ন রকম ভিসাতে বিভিন্ন রকম বেতন। দুবাইতে সবচাইতে সহজ কাজ হচ্ছে হোটেলের কাজ। তাই অনেকেই জানতে চায় দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত টাকা।
বাংলাদেশের মানুষ হচ্ছে আরাম প্রিয় মানুষ তাই তারা চায় খুব আরামের কাজ তাই বাংলাদেশের মানুষ হোটেলের কাজে আগ্রহী। তাই বাংলাদেশ থেকে যারা দুবাই হোটেলের বাসায় যেতে চায় তাদের সবার মনে একটি প্রশ্ন থাকে দুবাই হোটেল ভিসার বেতন কত টাকা? প্রবাসে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ভালো মানের ইনকাম করা। তাইতো বাংলাদেশ থেকে প্রবাসে যায় একমাত্র ভালো অর্থ উপার্জনের জন্য। দুবাই শহরের বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় অনেক হোটেল রয়েছে যে সকল হোটেলে বাংলাদেশীদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন দুবাই হোটেল ভিসার বেতন কত টাকা এবং দুবাই হোটেল ভিসা যেতে হলে কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন।
দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত
দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত টাকা, অনেকেই কাজ বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে দুবাই আসে। তাই যে সকল পর্যটক দুবাইতে আসে তারা বিভিন্ন হোটেলে থাকার জন্য হোটেল রুম ভাড়া করে। অনেক হোটেলে প্যাকেজের মাধ্যমে টুরিস্টদের বিভিন্ন সার্ভিস প্রদান করে থাকে। যার জন্য হোটেলের শিক্ষিত ব্যক্তিদের বিভিন্ন কাজে নিয়োগ দিয়ে থাকে। দুবাই হোটেল কোম্পানিতে চাকরির জন্য অবশ্যই আপনাকে ভালো ইংলিশ জানতে হবে কেননা দুবাইতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটক বেড়াতে আসে।
তাই সেই সকল পর্যটকদের বিভিন্ন সার্ভিস প্রধানের ক্ষেত্রে অবশ্যই ইংরেজি ভাষা জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হোটেলের কাজে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ রয়েছে প্রতিটা কাজের দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে দুবাই হোটেলের ভিসায় যাবেন তাদের অবশ্যই কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। একটি সাধারণ মানের হোটেলে একজন কর্মচারীর সর্বনিম্ন বেতন ৫০ হাজার টাকা এবং একটি ফাইভ স্টার হোটেলে একজন কর্মচারীর বেতন ৮০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকা।
দুবাই হোটেলে কি কি কাজ করতে হয়
আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে দুবাই হোটেল ভিসায় যাবত তাদের জানতে হবে দুবাই হোটেলে কি কি কাজ করতে হয়? দুবাইতে অনেক ধরনের হোটেল রয়েছে এর মধ্যে কিছু হোটেল আছে শুধুমাত্র রুম ভাড়া দেওয়ার জন্য। সেসকল হোটেলের টুরিস্টদের খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু বাহিরের যেকোন রেস্টুরেন্টে খেতে হয়। তাই এই সকল হোটেলে কাজের কোন ক্যাটাগরী নেই শুধুমাত্র রুম ক্লিনার এবং রুম সার্ভিস দেওয়ার জন্য লোক প্রয়োজন হয়।
আবার দুবাইতে অনেক উন্নত হোটেল রয়েছে যেগুলো প্যাকেজ আকারে টুরিস্টদের জন্য হোটেল রুম ভাড়া দিয়ে থাকে যেখানে থাকা থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া সম্পূর্ণ এই প্যাকেজের ভিতরে থাকে। তখন সে সকল হোটেলে ওয়েটার, ক্লিনার, রাধুনী, রুম সার্ভিস ম্যান আলাদা আলাদা পদের লোক নিয়োগ দিতে হয়। তাই বাংলাদেশ থেকে যারা দুবাইতে হোটেলের ভিসাতে যাবেন তাদের কাজ করতে হবে সাধারণত ওয়েটারের কাজ, ক্লিনার এর কাজ, রাঁধুনের কাজ, রুম সার্ভিসের কাজ ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ দুবাই ভিসার দাম কত
দুবাই হোটেলে কাজের বেতন কত
প্রতিটি হোটেলে আলাদা আলাদা ক্যাটাগরিতে নিয়োগ দিয়ে থাকে এবং আলাদা আলাদা একটা করিতে বেতন দেওয়া হয়। যারা ডুবাইতে ক্লিনার বিষয় কাজ করবেন হোটেলে তাদের সর্বনিম্ন্মা মাসিক বেতন হবে ৩০ হাজার টাকা থেকে 40 হাজার টাকার মধ্যে। আপনারা যারা রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ করবেন তাদের বেতন হবে ৫০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়া আপনারা যারা হোটেলের রাঁধুনির কাজ করবেন তাদের বেতন ৮০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে। আর আপনারা যারা রুম সার্ভিস দিয়ে থাকবেন তাদের সর্বনিম্ন বেতন হবে ৪০ হাজার টাকা তারা বিভিন্ন টুরিস্টের কাছে বোনাস পেয়ে থাকেন। আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন কোন ক্যাটাগরির বেতন কত টাকা।
শেষ কথা
অবশ্যই দুবাই আসার পূর্বে হোটেলের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং কিছু কিছু হোটেল কোম্পানি তাদের চাকরির সার্কুলার ইংরেজি ভাষা বাধ্যতামূলক উল্লেখ করে থাকে। তাই আপনারা যারা ইংরেজি ভাষা ভালো পারেন তারা অবশ্যই হোটেলের ভিসাতে দুবাই যেতে পারেন। আশা করি আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের অবগত করার চেষ্টা করেছি দুবাই হোটেল ভিসার বেতন কত টাকা এবং দুবাই হোটেল ভিসায় যেতে কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন হয়। এরকম আরো নিত্য নতুন পোস্ট পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।