নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে | নতুন ভোটার কিভাবে হবো ২০২৪, একজন বাংলাদেশের নাগরিক ১৮ বছর বয়েস হলেই সে ভোটার হতে পারবে। নতুন ভোটার হতে হলে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, জন্ম নিবন্ধন, পিতা মাতার এন আইডি কার্ড এর ফটোকপি, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগরিকত্ব সনদপত্র, চেয়ারম্যানের থেকে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অঙ্গীকার নামা এবং চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড একটি দেশের নাগরিকের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় পরিষদপত্র বা এন আইডি কার্ডের মাধ্যমে তার নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা হয় তাই আমাদের জানতে হবে কিভাবে নতুন ভোটার হতে হয় এবং ভোটার হতে কি কি লাগে। আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে এই বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা হবে।
নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে
বর্তমানে নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে সে বিষয়টি জানতে হবে নতুন ভোটার হতে হলে অবশ্যই আপনাকে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি, পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, নাগরিকত্ব সনদপত্র এবং যদি সিটি কর্পোরেশন হয় তাহলে কাউন্সিলর কাছ থেকে সুপারিশ নামা এবং পৌরসভা হয় তাহলে মেয়র মহোদয়ের সুপারিশ নাম এবং যদি ইউনিয়ন পরিষদের হয় তাহলে চেয়ারম্যানের সুপারিশ নামা প্রয়োজন।
নতুন ভোটার হতে হলে তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে কারণ বর্তমানে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা বসবাস করে তাই বাংলাদেশ সরকারের নতুন ভোটার হতে অনেকগুলো নিয়ম ফলো করে তাই আপনারা অবশ্যই নতুন ভোটার হতে হলে বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম গুলো ফলো করুন।
ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি লাগে
আপনি যদি নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদপত্র লাগবে, আপনি যদি শিক্ষিত না হয়ে থাকেন তাহলে সনদপত্র লাগবে না, বৈধ জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি অবশ্যই লাগবে, আপনার পিতা মাতার এন আইডি কার্ড এর ফটোকপি লাগবে, আপনার আশেপাশে বসবাসকৃত তিনজন ব্যক্তির এনআইডি কার্ডের ফটোকপি এবং সিগনেচার লাগবে।
নতুন ভোটার হতে হলে চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট এবং চেয়ারম্যানের অঙ্গিকার নামাও লাগবে। এছাড়া আপনার ঠিকানা প্রমাণের জন্য ইউলিটি বিল এর কপি লাগবে যেমন বিদ্যুৎ বিল গ্যাস বিল টেলিফোন বিল এগুলোর ফটোকপি এরপর সাথে অবশ্যই আপনার জমির খাজনার ফটোকপি লাগবে বা হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ লাগবে মোটামুটি এই কাগজগুলো হলেই আপনারা নতুন ভোটার হওয়ার জন্য স্থানীয় নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
নতুন ভোটার কিভাবে হবো
বাংলাদেশ সরকার থেকে নির্দিষ্ট টাইম পরপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ করে। আপনি যদি নতুন ভোটার হতে চান তাহলে আপনার বয়স যখন ১৮ হবে তখন আপনার বাড়ি গিয়ে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা আপনার তথ্য হালনাগাদ করবে। পরবর্তীতে নির্দিষ্ট সময়ে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এখন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য তাদের ছবি উঠাবে।
যদি আপনি জরুরি ভাবে ভোটার আইডি কার্ড করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনারা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনে ভোটার ফরম পূরণ করে নির্বাচন অফিসে জমা দিন। পরবর্তীতে আপনাকে মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ছবি এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার তারিখ।
আপনি যদি সমস্ত প্রসেস সম্পূর্ণভাবে শেষ করেন তাহলে আপনার মোবাইলে একটি মেসেজ আসবে এবং সেই মেসেজের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সম্পন্ন হয়েছে।
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন
বর্তমানে নতুন ভোটার হতে গেলে আপনাকে অবশ্যই নিচের দেয়া লিস্ট অনুযায়ী সমস্ত কাগজপত্র লাগবে। তাহলে আপনারা দেখে নিন আপনাদের নতুন ভোটার হতে কি কি কাগজপত্র বা কি কি ডকুমেন্টস লাগবে।
-
ডিজিটাল জর্ম্ম সনদের ফটোকপি।
-
পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
-
স্বামীর বা স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি।
-
চেয়ারম্যান কর্তৃক নাগরিকত্ব প্রত্যায়ন পত্র।
-
শিক্ষিত হলে শিক্ষাগত সনদপত্র।
-
শিক্ষাগত সনদপত্রের প্রথম শ্রেণীর সরকারি অফিসার ধারা সত্যায়িত ফটোকপি।
-
হাসপাতাল থেকে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে ফটোকপি জমা।
-
বিলের কাগজ, গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল, টেলিফোন বিল, এগুলোর মধ্যে যে কোন একটি জমা দিতে হবে।
-
হোল্ডিং ট্যাক্স এর কাগজের ফটোকপি।
-
মেয়র বা চেয়ারম্যান এর অঙ্গীকারনামা।
ভোটার নিবন্ধন করার জন্য কোথায় যেতে হবে
দুই বছর পর পর বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটারের জন্য নিবন্ধন করে থাকে। যদি আপনি বাদ পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে উপরের লিস্ট অনুযায়ী কাগজপত্র নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে এবং অবশ্যই আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে যদি নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার হতে চান।
আরও পড়ুনঃ NID কার্ড দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে দেখার নিয়ম
অনলাইনে ভোটার নিবন্ধন
ভোটার হওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে এইজন্য আপনি কম্পিউটার বা মোবাইলের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। এই জন্য আপনাকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই ঠিকানায় https://services.nidw.gov.bd/ গিয়ে নতুন ভোটার বাটনে ক্লিক করে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফরমটি পূরণ করুন। এই ফরমটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে উপরের লিস্ট অনুযায়ী কাগজপত্র সহ নির্বাচন অফিসে জমা দিন। পরবর্তীতে আপনাকে মেসেজের মাধ্যমে জানানো হবে আপনার ছবি তোলার ও ফিঙ্গার-প্রিন্টের তারিখ কবে।
নতুন ভোটারের উদ্দেশ্যে কিছু কথাঃ
নতুন ভোটার হতে হলে অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রমাণ দিতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের রোহিঙ্গারা বসবাস করে তাই বাংলাদেশ সরকার থেকে নির্বাচন কমিশন এর উদ্দেশ্যে কিছু রুল ফলো করতে বলেছে । তাই আপনি উপরের ডকুমেন্টগুলো সঠিকভাবে জমা দিলে খুব দ্রুতই ভোটার হতে পারবেন তাই আপনাকে অবশ্যই উপরের লিস্ট অনুযায়ী সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। আশা করি আপনারা খুব সহজে জানতে পেরেছেন নতুন ভোটার কিভাবে হবো সেই সম্পর্কে।
নতুন ভোটের হতে কি কি লাগবে?
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন কিভাবে নতুন ভোটার হতে হয়।