ঢাকা টু কুড়িগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী এবং ভাড়ার তালিকা, ঢাকা থেকে আপনারা যারা কুড়িগ্রামে ট্রেনের মাধ্যমে চলাচল করতে চাচ্ছেন? তাদের জানতে হবে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের জন্য কোন ট্রেনগুলো চলে এবং কোন সময় ট্রেনগুলো স্টেশন ছেড়ে যায় ও চলাচলকৃত ট্রেন গুলোর ভাড়া কত? যে সকল যাত্রীগণ এই রুটে রেল সেবা নিতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই ঢাকা টু কুড়িগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী এবং ভাড়ার তালিকা জেনে নিবেন। ট্রেন নির্দিষ্ট সময় চলাচল করে তাই আপনি যদি সময়সূচী না জানেন তাহলে আপনি ট্রেনে চলাচল করতে পারবেন না।
বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয় থেকে রেলের একটি ভাড়া নির্ধারণ করে দেয় যে ভাড়া গুলো আপনার জানা থাকা অতি গুরুত্ব। ট্রেনে চলাচল করতে হলে অবশ্যই ভাড়া সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে তাই আপনারা যারা ঢাকা টু কুড়িগ্রামে ট্রেনে চলাচল করবেন তারা আমার এই আর্টিকেলটি পড়বেন আমার এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন ঢাকা টু কুড়িগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী এবং ভাড়ার তালিকা।
ঢাকা টু কুড়িগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী
ঢাকা টু কুড়িগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী, বর্তমানে ঢাকা টু কুড়িগ্রামের মাঝে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে! আন্তঃনগর ট্রেনগুলো হচ্ছে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস এবং রংপুর এক্সপ্রেস বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয় থেকে কুড়িগ্রাম জেলাবাসীর জন্য এই আন্তঃনগর ট্রেন চালু রেখেছে। তাই আপনারা যারা ঢাকা টু কুড়িগ্রাম ট্রেনে চলাচল করবেন তাদের অবশ্যই এই আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে চলাচল করতে হবে।
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাত ৮ঃ৪৫ মিনিটে কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে চলাচল করে এবং রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা রেল স্টেশন থেকে সকাল ৯ঃ১০ মিনিটে কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বর্তমানে এই ট্রেনগুলো আন্তঃনগর সার্ভিস দিয়ে থাকে তাই বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয় থেকে ৪ টি ক্যাটাগরিতে ভাড়া নির্ধারণ করেছে তাই আপনারা নিচের লিস্ট অনুযায়ী ৪ টি ক্যাটাগরির ভাড়া দেখে নিন।
রংপুর এক্সপ্রেস-৭৭১
কুড়িগ্রাম রেলস্টেশন এর উদ্দেশ্যে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলাচল করে বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয় থেকে রংপুর এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি পরিচালিত হয়ে থাকে এই আন্তঃনগর ট্রেনটি সপ্তাহে ছয় দিন ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে চলাচল করে। বর্তমানে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সেমি ননস্টপ সার্ভিস দিয়ে থাকে এবং যাত্রীগণের কথা চিন্তা করে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে তিন ক্যাটাগরিতে টিকিট বিক্রি করে থাকে।
-
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা রেল স্টেশন থেকে সকাল ৯ টা ১০ মিনিটে কুড়িগ্রাম রেলস্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। দীর্ঘ ০৯ ঘন্টা ৫০ মিনিট সময় নিয়ে কুড়িগ্রামে গিয়ে পৌঁছায়।
-
আন্তঃনগর রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সাপ্তাহিক বন্ধ হচ্ছে সোমবার।
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস-৭৯৭
কুড়িগ্রাম জেলার জন্য বাংলাদেশ সরকার থেকে একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করেছে যে ট্রেনটির নাম হচ্ছে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস। ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সপ্তাহে ০৬ দিন কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে আন্তঃনগর ট্রেনটি চলাচল করে। কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি আন্তঃনগর সার্ভিস দিয়ে থাকে তাই তিনটি ক্যাটাগরিতে রেল মন্ত্রণালয় আসন বিন্যাস করেছে।
-
আন্তঃনগর কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে রাত ৮ঃ৪৫ মিনিটে কুড়িগ্রাম রেলস্টেশনের উদ্দেশ্যে চলাচল করে। দীর্ঘ ১০ ঘন্টা ট্রেনটি চলাচল করে কুড়িগ্রাম রেলস্টেশনে গিয়ে পৌঁছায়।
-
বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয় থেকে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটির সাপ্তাহিক বন্ধ ঘোষণা করেছে বুধবার।
আরও পড়ুনঃ ঢাকা টু পঞ্চগড় ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা
ঢাকা টু কুড়িগ্রাম ট্রেন ভাড়া
ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের দূরত্ব হচ্ছে ৪০৫ কিলোমিটার ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম রেল স্টেশনে ট্রেনগুলো পৌঁছাতে ৯ থেকে ১০ ঘন্টা সময় লাগে। বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকা টু কুড়িগ্রামের ট্রেনের ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করছে যে ভাড়া অনুযায়ী আপনারা ঢাকা টু কুড়িগ্রামের ট্রেনে চলাচল করতে পারবেন।
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
-
রেল মন্ত্রণালয় থেকে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটির শোভন চেয়ারের ভাড়া ৬৪৫ টাকা নির্ধারণ করেছে।
-
রেল মন্ত্রণালয় থেকে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটির স্নিগ্ধ চেয়ারের ভাড়া ১,২৩৭ টাকা নির্ধারণ করেছে।
-
রেল মন্ত্রণালয় থেকে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটির এসি সিট এর ভাড়া ১,৪৭৮ টাকা নির্ধারণ করেছে।
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
-
রেল মন্ত্রণালয় থেকে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটির শোভন চেয়ারের ভাড়া ৬৪০ টাকা নির্ধারণ করেছে।
-
রেল মন্ত্রণালয় থেকে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটির স্নিগ্ধ চেয়ারের ভাড়া ১,২২৫ টাকা নির্ধারণ করেছে।
-
রেল মন্ত্রণালয় থেকে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটির এসি বার্থ কেবিনের ভাড়া ২,১৯৭ টাকা নির্ধারণ করেছে।
ঢাকা টু কুড়িগ্রামের দূরত্ব
ঢাকা টু কুড়িগ্রামের দূরত্ব হচ্ছে ৪০৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেললাইন পাড়ি দিয়ে প্রতিদিন দুটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। তাই যে সকল যাত্রীগণ ট্রেনে চলাচল করবেন তারা হাতে সময় নিয়ে ট্রেনে চলাচল করবেন কারণ প্রতিটা ট্রেন ০৯ থেকে ১০ ঘন্টা সময় লাগে কুড়িগ্রামে পৌঁছাতে।
ট্রেন যাত্রীদের উদ্দেশ্যে কিছু কথাঃ
বর্তমান পরিস্থিতিতে সব কিছুর ভাড়া যখন বেশি সেই সময় বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয় থেকে শুধুমাত্র যাত্রীদের কথা চিন্তা করে অল্প খরচে আরামদায়ক ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তাই আপনারা সবসময় চেষ্টা করবেন ট্রেনের চলাফেরা করতে এবং যে সকল যাত্রী ট্রেনে চলাচল করবেন তারা অবশ্যই বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত টিকিট কেটে রেল ভ্রমণ করবেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার থেকে নতুন নিয়ম চালু করছে সেই নিয়ম অনুযায়ী আপনার এনআইডি কার্ড দিয়ে বাংলাদেশ রেলের ওয়েবসাইট থেকে একটি একাউন্ট করতে হবে। সেই একাউন্ট অনুযায়ী আপনি ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন তাই আপনারা বাংলাদেশ রেলওয়ের এই ওয়েবসাইট থেকে আপনার একাউন্টটি করে নিন।