দুবাই টুরিস্ট ভিসার দাম কত ২০২৪, সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যতম বড় শহর হচ্ছে দুবাই। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত এর মধ্যে সবচাইতে বৃহত্তম এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে দুবাই। বর্তমানে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশী নাগরিক দুবাইতে বসবাস করছেন। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণ টুরিস্ট দুবাই যেয়ে থাকে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে দুবাই যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরির এবং বিভিন্ন প্রকারের ভিসা পেয়ে যাবেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসার দাম বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে তাই অনেকেই জানতে জানতে চায় দুবাই টুরিস্ট ভিসার দাম কত?
দুবাই সরকার টুরিস্ট ভিসার জন্য দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তাই আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিসায় দুবাই যাবেন তাদের অবশ্যই নির্ধারিত দামে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে দুবাই যেতে হবে। দুবাই প্রাকৃতিকভাবে সৌন্দর্যপূর্ণ না হলেও আধুনিকতার দিক দিয়ে বিশ্বের অন্যতম উন্নত একটি শহর। বর্তমানে অনেক মানুষ পেয়েছেন যারা কর্মের উদ্দেশ্যে না গিয়ে দুবাইতে ঘুমানোর উদ্দেশ্যে যেয়ে থাকেন। তবে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে দুবাই যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডুবাই টুরিস্ট এর দাম কত বিস্তারিত জানতে হবে তাহলে চলেন জেনে নেওয়া যাক দুবাই টুরিস্ট ভিসার দাম কত বিস্তারিত তথ্য।
দুবাই টুরিস্ট ভিসার দাম কত
দুবাই টুরিস্ট ভিসার দাম কত, বাংলাদেশের যে কোন শহরের থেকে দুবাই অনেক উন্নত একটি শহর। এবং দুবাইয়ের এক টাকা বাংলাদেশের ৩০ টাকার মত প্রায়। বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক মানুষের রয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত দুবাই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে দুবাই টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেয়ে থাকে। যারা বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিয়ত দুবাই ভ্রমণ করে থাকেন তারা সাধারণত দুটি পদ্ধতির মাধ্যমে দুবাই টুরিস্ট ভিসা করে থাকেন।
আপনি যে কোন এজেন্সির মাধ্যমেও খুব সহজে টুরিস্ট ভিসা করতে পারবেন এবং দ্বিতীয়ত আপনি যেকোনো এয়ারলাইন্স কোম্পানির মাধ্যমে দুবাইতে টুরিস্ট ভিসা করতে পারবেন। তাই দুবাই টুরিস্ট ভিসার দাম কত টাকা তা জানতে নিম্নলিখিত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
১. এজেন্সির মাধ্যমে দুবাই টুরিস্ট ভিসার আবেদন
আপনি বাংলাদেশের যে কোন বৈধ এজেন্সি থেকে দুবাই টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস অরজিনাল হতে হবে, যদি আপনি নকল ডকুমেন্টস দিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করেন সেক্ষেত্রে আপনি কখনোই দুবাই টুরিস্ট ভিসা পাবেন না। আর দুবাই এজেন্সির মাধ্যমে টুরিস্ট ভিসার আবেদন করতে হলে আপনার অনেকগুলো প্রয়োজনীয় কাগজ প্রয়োজন হবে।
সর্বপ্রথম আপনাকে বৈধ পাস পর্যন্ত দিতে হবে সাথে আরো জমা দিতে হবে দুই কপি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর পাসপোর্ট সাইজের ছবি। এবং সঠিকভাবে পূরণকৃত ভিসার এপ্লিকেশন ফর্ম সমা দিতে হবে। এবং আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে আপনার ব্যাংকে কত টাকা আছে সেই সম্পর্কে। এবং কি কারনে দুবাই টুরিস্ট ভিসায় যাবেন সেই বিষয়ে উল্লেখ করতে হবে।
এর পরে প্রয়োজন হবে আপনার রিটার্ন এয়ার টিকিট বুকিং কপি এবং আপনি কোন হোটেলে থাকবেন তার বুকিং কপি। আপনার সাথে যোগাযোগ করা যাবে এমন দুটি ফোন নাম্বার। কোন এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দুবাই যাবেন তার সকল তথ্য।
২. এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে দুবাই টুরিস্ট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
এয়ারলাইন্স কোম্পানির মাধ্যমে দুবাই টুরিস্ট ভিসা আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কয়েকটি এয়ারলাইন্স কোম্পানি রয়েছে যেমন ইতিহাদ এয়ারলাইন্স, ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইন্স, এমিরেস এয়ারলাইন্স, এবং আরব এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স। তবে এ সকল এয়ারলাইন্সে আবেদন করার পর আপনাকে ৩ থেকে ৪ কর্ম দিবস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি প্রথমবারের মতো দুবাই টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনার সর্বনিম্ন ১০০ ডলার আপনাকে প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রায় ১১ হাজার টাকার মত দুবাই টুরিস্ট ভিসার আবেদনের খরচ হবে। তাই আপনারা খুব সহজেই প্রয়োজনে কিছু কাগজপত্র জমা দিয়ে এয়ারলাইন্স কোম্পানির মাধ্যমে টুরিস্ট ভিসা সম্পন্ন করতে পারবেন।
দুবাই টুরিস্ট ভিসা খরচ কত?
দুবাই টুরিস্ট ভিসার দাম কত, বাংলাদেশীদের জন্য দুবাইতে টুরিস্ট ভিসার সরকারি নির্ধারিত মূল্য হচ্ছে ১০০ ইউ এস ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১১ হাজার টাকা। এবং আপনি যদি দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে টুরিস্ট ভিসা করতে চান তাহলে আপনার টুরিস্ট ভিসায় খরচ হবে ৫০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে।
তবে বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিসার এজেন্সি খরচ বিমান ভাড়া এবং বিভিন্ন খরচ দিয়ে আপনার ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত টুরিস্ট ভিসা খরচ হবে। তাই বর্তমানে দুবাইয়ে টুরিস্ট ভিসার সর্বনিম্ন খরচ হচ্ছে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
দুবাই টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং
দুবাই টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং বলতে আমরা সাধারণত বুঝি ভিসা সম্পন্ন করাকে। আপনাকে দুবাই টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং করতে হলে কয়েকটি ধাপ অবলম্বন করতে হবে তো আপনি নিজে থেকে করতে পারবেন না। অবশ্যই আপনাকে কোন এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে দুবাই টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে দুবাই টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং করতে সর্বনিম্ন ৩০ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে।
আরও পড়ুনঃ দুবাই ভিসার দাম কত
টুরিস্ট ভিসা করতে কত টাকা খরচ হয়
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে দুবাই টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনার কিছু টাকা প্রয়োজন হবে আবেদনের সময়। আপনি যদি ৩০ দিনের জন্য সিঙ্গেল মেয়াদে পুলিশ ভিসা নিয়ে এন্ট্রি করতে চান তাহলে আপনার সর্বনিম্ন ৩৫০ দিরহাম দুবাই সরকারকে ফ্রি দিতে হবে। আপনি যদি মাল্টিপল এন্ট্রি নিয়ে ৩০ দিনের জন্য যেতে চান তাহলে আপনাকে খরচ করতে হবে ৬৫০ দিরহাম। এবং আপনি যদি ৯০ দিনের জন্য সিঙ্গেল টুরিস্ট ভিসা নিয়ে দুবাই যেতে চান তাহলে আপনাকে খরচ করতে হবে ২৫০০ দিরহাম। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৫ হাজার টাকা। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন টুরিস্ট ভিসা করতে কত টাকা খরচ হয়।
শেষ কথা
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা জানতে পেরেছেন দুবাই টুরিস্ট ভিসার দাম কত টাকা এবং দুবাই টুরিস্ট ভিসা কিভাবে করতে হয়। আশা করি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই দুবাই টুরিস্ট ভিসার দাম কত এই পোস্টটি শেয়ার করবেন এবং বেশি বেশি আমার ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।